Logo

রাজনীতি    >>   আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শফিকুল আলমের কঠোর মন্তব্য

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শফিকুল আলমের কঠোর মন্তব্য

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শফিকুল আলমের কঠোর মন্তব্য

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দাবিতে পাঁচটি ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তাদের এই কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া আওয়ামী লীগকে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাইবে, এবং তাদের নেতাকর্মীরা বিচারকের সামনে আত্মসমর্পণ করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভের অনুমতি দেয়া উচিত নয়। তিনি উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান নেতৃত্ব এবং ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা না করলে, তাদের কোনও ধরনের বিক্ষোভ বা কর্মসূচি করার অনুমতি দেয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কখনোই কোনো বৈধ আন্দোলন বা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সমাবেশ করার স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানো হয়। অথচ আওয়ামী লীগই তাদের শাসনামলে গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও প্রকাশ্য দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি চরম সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ২০১৮ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যায় অংশ নেয়। সেই সময় বহু তরুণ এবং শিশু নিহত হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের দমন-পীড়ন এবং গুম-খুনের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় তিন হাজার লোককে গুম করেছে এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজারকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে।

তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তারা একটি চোরতন্ত্র এবং খুনি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকারের ঘনিষ্ঠরা প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে এবং দুর্নীতির অভিযোগের কারণে শেখ হাসিনার পরিবার এখন তদন্তের মুখোমুখি। এমনকি, শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের দমন করা হয়েছে।

শফিকুল আলম মনে করেন, কোনো দেশের সরকার কখনোই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের আবার ক্ষমতায় আসতে দেবে না। তিনি প্রশ্ন করেন, কোনো দেশে কি এমন একটি সরকারকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে, যারা জনগণের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অপরাধ করেছে? তাঁর মতে, আওয়ামী লীগের পতাকা তলে যদি কেউ অবৈধ বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাকে কঠোর আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তারা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। তারা দেশের সুরক্ষা বজায় রাখবে এবং কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।





P.S 220 Winter concert

P.S 220 Winter concert